সপ্তমঃ পাঠঃ কৃৎ ওও তদ্ধিত প্রত্যয়

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - সংস্কৃত - তৃতীয় ভাগঃ তৃতীয়ঃ | NCTB BOOK

(ক) কৃৎ- প্রকরণ

শব্দ গঠন করার জন্য ধাতুর উত্তর তথ্য, অনীয়, গাদ, য‍, শত্, শান, , বত্ব প্রভৃতি যে সকল প্রভায় হয়, তাদেরকে কৃৎ প্রত্যয় বলে এবং কৃৎ-প্রত্যয় নিষ্পন্ন পদকে কৃদন্তপদ বলে। কৃদন্তপদ ঃ √দা + তব্য = দাতব্য √কৃ + ক্ত = কৃত +

তব্য, অনীয়, গাৎ, যৎ

উচিতার্থে এবং ভবিষ্যৎ কাল বোঝালে ধাতুর উত্তর কর্মবাচ্যে ও ভাববাচ্যে এই প্রত্যয়গুলো হয়। এদেরকে কৃত্য প্রত্যয় বলে। কর্মবাচ্যে উক্ত প্রভাষগুলোর প্রয়োগ হলে তারা কর্মের বিশেষণ হয়, সুতরাং কর্মের লিঙ্গ, বচন ও বিভক্তির অনরূপ এদেরও লিজা, বচন ও বিভক্তি হয়।

তব্য

+ ত = দাতব্য, স্থা + তা = স্থাতব্য, জি + তব্য = জেতব্য। শী + তা = শয়িতব্য, √ধু

+ তব্য = শ্রোতব্য, √কৃ + তব্য = কর্তব্য।

অনীয়

রূপা (পান করা) + অনীয় = পানীয়, নী + অনীয় = শয়নীয়, √কৃ + অনীয় করণীয়, √স্মৃ + অনীয় =

স্মরণীয়, সেব্‌ + অনীয় সেবনীয়।

Vকু + ণাৎ = কার্য, ধৃ + গ = ধার্য, √বচ্‌ + না = বাচ্য, ত্যজ + গ = ত্যাজ্য, তু + = ভোজ্য, ভক্ষ + ণ = ভক্ষ্য।

খুঁজি + য = জেয়, দা + য = দেয়, নী + য = নেয়, পায়ে, + +

অতীতকালে সকর্মক ধাতুর উত্তর কর্মবাচ্যে এবং অকর্মক ধাতুর উত্তর কর্তৃবাচ্যে 'ক' প্রতায় হয়। প্রত্যয়ান্ত পদ ক্রিয়া ও বিশেষণের কাজ করে।

সকর্মক ধাতুর উত্তর কর্মবাচ্যে প্রতায়

VS + ক্ত = ঘ্রাত, দহ + = দশ, দৃশ + = দৃষ্ট, নিন্ + ক = নিন্দিত, √পচ্‌ + ক্ত = পকু, পু

+ = পূত।

অকর্মক ধাতুর উত্তর কর্তৃবাচ্যে প্রত্যয়

কুপ + ক্ত = কুপিত, ক্ষি + ক্ত = ক্ষীণ, জীব = = জীবিত, ন + V + শয়িত, √মূহ + ক্ত = মুগ্ধ, মূঢ়, স্থা + = স্থিত।

কভু প্রতায় কর্তৃবাচ্যে হয়; কনতু প্রত্যয়ান্ত শব্দ কর্তার বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়। সকর্মক ও অকর্মক উভয় প্রকার ধাতুর উত্তর স্ত প্রভায় হয়।

কী + কবতু = ক্রীতবৎ, V + ব = গীত, r + ব = জিতব, ত্যঙ্গ + কবতু = ত্যবৎ, বনম্ + ক্তবস্তু = নতবং, খলি + ভবতু = লিখিতবৎ, সৃজ + ব = সৃষ্ট, হন্ + কবতু = হতবৎ, কৃ কবতু = কৃতবৎ ।

শতৃ ও শানছ

বর্তমানকালে কর্তৃবাচ্যে পরস্মৈপদী ধাতুর উত্তর 'শত্রু' ও আত্মনেপদী ধাতুর উত্তর 'শান' প্রত্যয় হয়। শত্রু ও

শানছ প্রত্যয়াস্ত পদ সর্বদাই বিশেষণ হয়। কাজেই বিশেষ্যের শিক্ষা ও বচন অনুযায়ী এদের শিক্ষা ও বচন

শর্ত প্রত্যয়ান্ত পুংলিঙ্গের বিশেষণ হলে 'ধাবৎ' শব্দের ন্যায়, স্ত্রীলিঙ্গের বিশেষণ হলে 'নদী' শব্দের ন্যায় এবং ক্লীবলিঙ্গের বিশেষণ হলে গচ্ছত' শব্দের ন্যায় হয়। শ‍

গম + শ = গচ্ছ, স্পৃশ + শ = স্পৃশ, নিশ্ + শ = নশাৎ, গ্রহ + শ = গৃহৎ, কৃ + তৃ = কর্নৎ, গৈ + শ = গা

Vইক্ষ + শানচ্‌ = ঈক্ষমান, √চেষ্ট, + শানচ্ = চেষ্টমান, √ভাষ + শানচ্‌ = ভাঘমান, বৃৎ + শানচ্‌ = বর্তমান।

তুমুল

নিমিত্তার্থ বোঝালে এবং সমাপিকা ও অসমাপিকা উভয় ক্রিয়ার কর্তা একজন হলে, ধাতুর উত্তর 'তুমুন' প্রত্যয় হয়। তুমুন এর 'তুম' থাকে।

করতে অর্থাৎ করার নিমিত্ত, দেখতে অর্থাৎ দেখার নিমিত্ত, পড়তে অর্থাৎ পড়ার নিমিত্ত, এরূপ বাংলার 'তুমুন প্রত্যয় দ্বারা সংস্কৃত অনুবাদ করতে হয়। তুমুন - প্রত্যয়ান্ত পদ অসমাপিকা ক্রিয়া ও অব্যয়ের কাজ করে।

তুমুন - প্রত্যয়াস্ত কয়েকটি পদ

√কৃ + তুমুন = কতুম, √গ্রহ + তুমুন গ্রহীতুম, √গম্‌ + তুমুল গন্ধম জি + তুমুন জেতুম, জীব * তুমুন = জীবিতুম, V + তুমুন আতুম, √পচ্‌ + তুমুন = পতুম, পিঠ + তুমুন পঠিতম।

সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা একজন হলে অনন্তর অর্থে অর্থাৎ করে, দেয়ে শুয়ে প্রভৃতি অর্থ প্রকাশ পেলে অসমাপিকা ক্রিয়াটির উত্তর জ্বাচ প্রত্যয় হয়। জ্বাছ প্রত্যয়ের "তা থাকে। জ্বাচ প্রত্যয়ার পদ অসমাপিকা ক্রিয়া ও অব্যয় হয়।

কাচ্ প্রত্যয়াস্ত কয়েকটি পদ

দা + জ্বাছ = দয়া, √দৃশ + ছ = দৃষ্টা, নম্ + চ = ন + + ছ = লিখিতা, দেখিতা।

লাপ বা য

ন ভিন্ন অন্য কোন অব্যয়ের সাথে ধাতুর সমাস হলে 'জ্বাছ' প্রত্যয়ের স্থানে পাপ বা যপ প্রত্যয় হয়। লাপ প্রত্যয় ক্বাহ - প্রভায়ের অর্থই প্রকাশ করে। ল্যাপ বা যপ্ প্রত্যয়ের 'য' থাকে।

লাপ বা যদু প্রত্যয়াপ্ত কয়েকটি পদ

- আপ + লাপ প্রাপ্য, নম্ + ল্যাপ প্রণতা, প্রণম্য, বি হা লা = বিহায় আ

+ লাপ = আদায়। বিদ - Vex + প = বিহস্য।

(খ) তদ্ধিত প্রকরণ

দশরথ + ই = দাশরথি

তর্ক + ঠক্ = তার্কিক।

উপরের উদাহরণ দুটোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ কর। প্রথম উদাহরণে 'দশরথ' শব্দটির সঙ্গে ইজ্ প্রতায় যোগে "দাশরথি" এই নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'তর্ক" শব্দটির সঙ্গে ঠক্ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ 'তার্কিক' এর সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং

যেসব প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদের বলা হয় তদ্ধিত প্রত্যয়। কম্পিত প্রতায় অসংখ্য। এরা নতুন শব্দ গঠন করে ভাষার শব্দ ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। বিভিন্ন অর্থে এদের

অপত্যার্থক তদ্ধিত প্রত্যয়

• এবং অণু এর 'অ' থাকে। ঢক্‌ স্থানে "এ", ফক্ স্থানে 'আয়ন এবং ঠক স্থানে ইক' হয়। যেসব শব্দের

উত্তর এই অপত্য প্রতগুলো যুক্ত হয়, তাদের আদিখরের বৃদ্ধি হয় অর্থাৎ অ স্থানে 'আ', ই, ঈ, স্থানে

'ঐ'; উ, ঊ, স্থানে 'ঔ' এবং যা স্থানে "আর" হয়।

ইএ (ই) সুমিত্রা + ই = সৌমিত্রিঃ (সুমিত্রায়ার পুত্রঃ)

স্লোগ + ই = দ্রৌণিঃ (পুত্র)

প্রয়োগ হয়ে থাকে । এখানে কতিপয় অতি প্রয়োজনীয় তদ্ধিত প্রত্যয়ের বিবরণ দেয়া হল। যার জন্মের ফলে বংশ পতিত হয় না, তাকে বলা হয় অপত্য। সুতরাং অপত্য বললে পুত্রকাদি সন্তানকে বোঝায়। অপত্য অর্থে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, তাদের অপত্য প্রত্যয় বলা হয়। অপতা অর্থে সাধারণতঃ ইঞা, যজ্ঞ, গা, অণু ঢক্ ফক্ ঠক্ প্রভৃতি অস্থিত প্রত্যয়ের ব্যবহার হয়। ইঞ-এর 'ই' এর 'য', গা এর 'য'

(4) + গ + য = গাৰ্গ (গা পুত্রঃ) জমদগ্নি + খ = জামদগ্ন্যুর (জমসপ্লেঃ পুত্রঃ)

(3)

1

দিতি + না = আদিত্যঃ (অদিতেঃ পুত্রঃ)

অদিতি + গ = দৈত্যঃ (দিতেঃ পুত্রঃ)

(অ) * পৃথা + অণু পার্থঃ (পৃথায়াঃ পুত্রঃ) পাণ্ডু + অ = পাণ্ডবঃ (পাভোঃ পুত্রঃ)

ঢক্ (এয়) * কুন্তী + ঢক্ = কৌন্তেয়াঃ (কুন্ত্যাঃ পুত্রঃ)

গণা + চক, গায়ের (গঙ্গায়াঃ পুত্রঃ) ফ (আ) নর নারায়ণ (রসা পূত্রঃ)

দ্রোণ + ফক্ = দ্রৌগায়ণঃ (দ্রোণস্য পুত্রাঃ)

ঠক্ (ইক) রেবতী + ঠ = রৈবতিকা (রেবত্যাঃ পুত্রঃ)।

১। তা পড়ে বা জানে এই অর্থে-

যেমন- বেদং বেত্তি অধীতে বা = বৈদিকঃ (বেদ + ঠক্) ব্যাকরণং বেত্তি অধীতে বা বৈয়াকরণঃ (ব্যাকরণ + অণু)।

২। তার যারা প্রোক্ত অর্থাৎ তিনি বলেছেন এই অর্থে। যেমন- পাণিনিমা প্রোক্তম্ = পাণিনীয়ম্ (পাণিনি +)

ঋষিণা প্রোক্তম্ = আম্ (ঋষি অণু)

৩। তার যারা কৃষ্ণ এই অর্থে। যেমন-

কায়েন নির্বত্তম = কায়িকম্ (কায় + ঠক্

শরীরেণ নির্বত্তম্ = শারীরিকম (শরীর + ঠক্ )

মনসা নির্বত্তম্ = মানসিকম্ (মনস্ ঠক্ ৪। সেখানে জাত এই অর্থে। যেমন-

সমুদ্রে ভবঃ = সামুদ্রিকঃ (সমুদ্র + ঠক কুল ভবা = কুলীনঃ (কুল)।

৫। সেই স্থান থেকে আগত এই অর্থে। যেমন- মথুরায়াঃ আগতঃ মাথুরঃ (মথুরা + অণু) পিতৃঃ আগতম্ = পিত্রাম্ (পিতৃ + যৎ)

৬। তাতে নিপুণ এই অর্থে। যেমন-

সভায়াং সাধুঃ = সভ্য (+)

সমাজে সাধুঃ = সামাজিকঃ (সমাজ + ঠক্)।

৭। তার সমূহ এই অর্থে। যেমন- ভিক্ষাণাং সমূহঃ = ভৈক্ষ (ভিক্ষা + অণু)

মনুষ্যাণং সমূহঃ = মানুষ কম্ (মনুষ্য + বু)।

৮। তার বিকার এই অর্থে। যেমন-

তিলস্য বিকারঃ = তৈলম্‌ (তিল + অ মৃদঃ বিকারঃ == মৃত্যুয়ঃ (+)

৯। তার দ্বারা রঞ্জিত এই অর্থে। যেমন- নীল নীল +অ) পীতেন রঞ্জিতম্ = পীতকম্ (পীত + ন)।

১০। কোনও ব্যক্তি বা বিষয় অবলম্বনে গ্রন্থ রচিত হয়েছে এই অর্থে। যেমন-

ভগবন্তম্ অধিকৃত্য কৃতম = ভাগবতম্ (ভগবৎ + অণু) রামম্ অধিকৃত্য কৃতম = রামায়ণম্ (রাম + ফক্)।

১১। নিমিত্তাৰ্থ বোঝাতে। যেমন-

পাদার্থম্ উদকম্ পাদা (পান)

অভিনয়ে ইদম্ = আতিথ্যম্ (অতিথি + গা)।

১২। তার হিত এই অর্থে। যেমন-

সর্বজনেতাঃ হিতম্ = সার্বজনীন (সর্বজন +) বিশ্বজনেতাঃ হিতম্ = বিশ্বজনীন (বিশ্বজন + খ)

১৩। তার দ্বারা বেঁচে আছে অর্থাৎ জীবিকা নির্বাহ করছে এই অর্থে। যেমন-

বেগুনেন জীবতি = বৈতনিকঃ (বেতন + ঠক্) নাৰা জীবতি = নাবিকঃ (নৌ+ঠ)।

১৪। এ তার প্রয়োজন এই অর্থে। যেমন-

শুদ্ধা প্রয়োজনম্ অস্য = শ্রাদ্ধম্ (শ্রদ্ধা + অন

আয়ুঃ প্রয়োজনম্ অস্য = আয়ুষ্যম্ (আয়ুস্ + ত)।

১৫। তার ভাব ও কর্ম এই অর্থে। যেমন-

কুমারস্য ভাষা কর্ম বা = কৌমারম্ (কুমার + অণু) শিশোঃ ভাবঃ কর্ম বা = শৈশবম্ (শিশু + অণু)।

১৬। তার ভাব এই অর্থে শব্দের উত্তর ও ভদ্ প্রত্যয় হয়। তল প্রত্যয়ের 'ত' শব্দের সাথে জড়িত হয় এবং

তার উত্তর আপু (আ) প্রত্যয় হয়। যেমন- সাধোঃ ভাবঃ কর্ম বা = সাধুত্ব (সাধু + ত্ব)

সাধুতা (সাধু + ত + সূত্ৰীলিফো আপু)

Content added || updated By

আরও দেখুন...

Promotion